১২ সপ্তাহের প্রিমিয়াম মেন্টরশীপ রিভিউ
মেন্টর- Sajedur Rahman
পূর্বের ওজন- ৯৬.২
বর্তমান ওজন- ৮৭.২
ওজন কমেছে- ৯ কেজি
উচ্চতা- 5 ফিট 2 ইঞ্চি
মেডিকেল ইস্যু- sarcoidosis, rheumatoid arthritis, migraine, acidity
2019 সালে Sarcoidosis ডায়াগনোসিস হওয়ার পরে ট্রিটমেন্ট হিসাবে হাইডোজ স্টেরয়েড চলে। ওজন আগে থেকেই বেশি ছিল, স্টেরয়েড নেওয়ার পরে তা আরো লাগামহীন হলো। সে সময় সাজেদুর রহমান ভাইয়ের মেন্টরশিপ নিয়েছিলাম এবং শুধুমাত্র ডায়েট চার্ট ফলো করে কোন এক্সারসাইজ ছাড়া 6 কেজি ওজন কমিয়ে ছিলাম। কিন্তু অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ার কারণে তা ধরে রাখতে পারেনি।
গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে ওজন মেপে দেখি 99.6 কেজি। আর মাত্র 400 গ্রাম বাড়লেই 3-digit নাম্বারে চলে যাব। আমার ছোট বোন পূজা তখন অলরেডি সাজেদুর রহমান ভাইয়ের মেন্টরশিপ নিয়ে অনেকটা ওজন কমিয়ে ফেলেছে। আমার বোন আমাকে বলল দিদি তুইও মেন্টরশিপ নিয়ে নে। আমি একমাস , আগের ডায়েট চার্ট টা ফলো করে 96.2 কেজিতে আসার পর সাজেদুর রহমান ভাইয়ের মেন্টরশিপ নিয়ে নেই। অক্টোবর মাস থেকে আমার 12 সপ্তাহের মেন্টরশিপ শুরু হয়। অনেক শারীরিক সমস্যা নিয়ে জার্নি শুরু হয়। প্রচুর ব্রিদিং প্রবলেম, মাল্টিপল জয়েন্ট পাইন, প্রতিদিন সন্ধ্যায় জ্বর আসতো, প্রচুর এসিডিটি হত, একেবারেই হাঁটতে পারতাম না। এবার মেন্টরশিপ নেওয়ার পরে দেখলাম গতবারের চেয়ে এবার আরো নতুনভাবে তিনি প্রোগ্রাম ডিজাইন করেছেন। সব তথ্য উপাত্ত নেবার পর আমার মেন্টর আমাকে আমার অসুস্থতা বিবেচনায় রেখে খুব সুন্দর একটি ডায়েট চার্ট পাঠিয়েছিলেন এবং সাথে এক্সারসাইজও পাঠিয়ে দিলেন। ওনার ডায়েট চার্ট ফলো করলে এসিডিটি ম্যাজিকের মতো ভ্যানিশ হয়ে যায়। ভাইয়া রেগুলার খোঁজ নিতেন। শরীর কেমন আছে, কতক্ষণ এক্সারসাইজ করছি, ডায়েট করতে গিয়ে কোন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে কিনা, আরো অনেক কিছু। কোন খাবার চার্ট এর বাইরে খেতে চাইলে বা খেয়ে ফেললে তিনি তা এডজাস্ট করে দিতেন। তিনি সব সমস্যার সমাধান জানেন। এক কথায় তিনি মুশকিল আসান। ব্রিদিং প্রবলেমের কারণে একদমই হাঁটতে , এক্সারসাইজ করতে পারতাম না। এটার ও সহজ একটি সমাধান তিনি দিয়েছেন। দশ মিনিট করে হাঁটতে বলতেন কয়েকবারে। এখন আমি এক ঘণ্টারও বেশি সময় হাঁটতে পারি। ব্রিদিং প্রবলেম, চেস্ট পেইন মাঝেমাঝেই অনেক বেড়ে যেত, তাই অনেক সময় ১০০ পারসেন্ট ডায়েট চার্ট ফলো করতে পারতাম না। এই তিনমাস আমার কাছে খুব ইম্পরট্যান্ট ছিল। সুস্থ থাকা, একটা হেলদি লাইফ স্টাইল ফলো করতে হলে নিজেকে অনেক তৈরি করতে হয়। যেটা সহজ করে দিয়েছে এই মেন্টরশিপ। সাজেদুর রহমান ভাই নিজেও একজন খুব পজিটিভ পারসন। এত অল্প বয়সে উনি এত জ্ঞান রাখেন, সত্যিই ওনার প্রতি আমার শ্রদ্ধা অনেক বেড়ে গেছে। উনি খুব আন্তরিক।
এবারের ওয়েট লস জার্নির বেস্ট পার্ট ছিল ডেইলি লগ পাঠানো। খুব হেল্প ফুল একটা মেথড। খুব ভালো সময় কাটিয়েছি । যারা শারীরিকভাবে আমার মত অনেক সমস্যায় ভুগছেন তাদের কে আমি সাজেদুর ভাইয়ের সাজেশন নিতে বলি। তাছাড়া লুজ টু গেইন গ্রুপে তো ফিট গাইড আছে।
আমি আমার এই হেলদি লাইফ স্টাইল চালিয়ে যাচ্ছি। কোথাও আটকে গেলে আমার মেন্টর তো আছেনই ।সুস্থ থাকার কোন বিকল্প নেই। সুস্থ থাকতে হলে খাবারের গুরুত্ব যে কতখানি তা এই জার্নিতে আমি বুঝেছি। সাজেদুর ভাইয়ের প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন সবাইকে ভালো রাখেন। সাজেদুর রহমান ভাই ,তার পরিবার এবং আমাদের লুজ টু গেইন পরিবারের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করি।