লুজ টু গেইন গ্রুপ আর সাজেদ ভাই এর সাথে পরিচয় এর বিগত তিনমাস-আমার জীবনের অন্যতম দামী তিনটা মাস হয়ে থাকবে।
ছোট থেকেই মোটাতাজা এই আমার অনেক রকম পথে হাঁটা হয়েছে ফিট হওয়ার আশায়। কখনো কিছুটা শুকিয়েছি তো আবার সেই গোলগাপ্পা হয়েছি। এভাবেই জীবন কেটে যাবে ভেবেছিলাম। একটা বড় অপারেশনের পর ডাক্তার বললো ওজন কমানো আমার প্রথম দায়িত্ব। ২০১৭ শুরু করি ৮৩ কেজি দিয়ে-লক্ষ্য ছিল উচ্চতা অনুযায়ী ৫০ এর ঘরে আসার। অনেক ধীরে ৭৬ পর্যন্ত গেলাম অক্টোবরে। ১০ মাসে মাত্র ৭ কেজি কমিয়ে কিছুটা আশাহত হয়ে গিয়েছিলাম।আর সেই মুহূর্তে সায়মা আপু আমাকে জানালো অসাধারণ এই গ্রুপের কথা। গ্রুপে ঢুকে এক সপ্তাহ পড়াশোনা করে বুঝলাম ডায়েট নিয়ে আমার জ্ঞান শূন্যের কাছাকাছি ছিল।। আর প্রেমা আপুর ওয়েটলস জার্নির পোস্ট খুব মোটিভেট করলো।সিদ্ধান্ত নিলাম সাজেদ বসকে মেন্টর করে আবার শুরু করবো নতুন উদ্যমে ১২ নভেম্বর থেকে।
কালকে শেষ হচ্ছে সেই যাত্রার ১২ সপ্তাহ।১২ সপ্তাহে ১২ কেজি কমে ৬৪ কেজি হতে পারার সমস্ত ক্রেডিট দিবো সাজেদ ভাইয়ের অসাধারন বন্ধুত্বপূর্ণ মেন্টরশীপকে। সত্যি বলতে এটুকু পারবো সেই আত্মবিশ্বাস ছিল না। ছিল না নিজের উপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ। তাই ওয়েট লুজ করার এই যাত্রাতে গেইন করেছি আত্মবিশ্বাস, আত্ননিয়ন্ত্রণ, সুস্থতা, মানসিক জোর, লক্ষ্য নিয়ে লেগে থাকা, আগের তুলনায় অনেক এনার্জি নিয়ে কাজ করা আর দুর্দান্ত একটা ছোট ভাই।
এখনো অনেক পথ বাকি লক্ষে পৌঁছানোর , তাই দেশ ছাড়ার আগে সাজেদ ভাইয়ের লেখা বইটা কিনতে এক দৌঁড়ে বইমেলা চলে গিয়েছিলাম আজকে আর ভাগ্যক্রমে বই পেয়ে গেলাম লেখক ভাইয়ের অটোগ্রাফ সহ।
অনেক দোআ থাকলো এই অসাধারণ গ্রুপ আর ভাইয়ার জন্য।