#১২_সপ্তাহের_প্রিমিয়াম_মেন্টরশীপ_রিভিউ
মেন্টর: Sajedur Rahman
ওজন কমেছে:১০ কেজি।
পুরা উনিভার্সিটি লাইফ বেইলি রোড, খিলগাঁও এরিয়াতে কাটিয়ে ওজন মোটামুটি ছিল।৯-৬ যখন চাকরি করা শুরু করলাম তখন ওজন আস্তে আস্তে বাড়া শুরু করলো।তখনো কেউ খুব একটা বলেনি মোটা হচ্ছো! কিন্তু গত বছর যখন জব ছেড়েছুড়ে চট্টগ্রামবাসী হলাম। বিরিয়ানীখোরতো ছিলামই সাথে হলাম এইবার মেজবানখোর! এমনেতেই পিসিওএস, মাইগ্রেন,সাইনাসের পেশেন্ট।একদিকে পিসিওএসের জন্য ওজন কমাতে হবে তো অন্যদিকে খাওয়া বেশী কন্ট্রোল করে না খেয়ে থাকলে মাইগ্রেনের পেইন
শুরু হয়।এদিকে সব কিছুর ওষুধ কিন্তু চলছে সাথে চলছে ওষুধের সাইড এফেক্টে ওজন বাড়া।ওজন তখন সব মিলিয়ে প্রায় ১৪ কেজি বেড়ে গেছে!নিজে নিজে ২ কেজি কমলেও বাকিটা কমানোর মত সাহস পাচ্ছিলাম না। এদিকে সবার খোঁচা মারা কথাতো একদম ফ্রী ছিলই!
তো একদিন গ্রুপে ঢুকে বুক ভরা আসা নিয়ে ফিটনেস গাইডটা ডাউনলোড দেবার জন্য ঢুঁ মারলাম!ঢুকেই দেখি কে যেন পোস্ট দিছে পেইড মেন্টরশীপ চায়!তখন এটা নিয়ে গ্রুপে সার্চ করে কিছুটা জানতে পারলাম। নক দিলাম পেজে পেয়ে গেলাম সাজেদ ভাইকে!
এইবার শুরু হলো আমার ডায়েট!আস্তে আস্তে সাজেদ ভাইয়ের প্রোভাইড করা চার্ট ফলো করতে লাগলাম এবং প্রথম সপ্তাহে ২.৯ কেজি কমলো মনে হলো আরে বাহ! এটাতো দেখি ম্যাজিক! বিশ্বাস করেন নিজেকে সেদিনই স্লীম মনে হচ্ছিল! ভাইয়া বললো এটা ওয়াটার ওয়েট!তখন বুঝলাম নাহ সামনে তাহলে বোধহয় বুঝবো ডায়েটের কি মজা! কিন্তু না ভাইয়া যথেষ্ট পরিমাণ খাবার দিয়ে একটা প্রোপার চার্ট দিল যেটায় আমার মনেই হতোনা আমি ডায়েটে আছি! সমস্যা হলে নক দিলেই ভাইয়ার রিপ্লাইগুলো আরো স্মুথ করে দিছে আমার ডায়েট জার্নিকে।তবে বোধহয় পেয়ারা খাওয়া নিয়ে ভাইয়াকে জ্বালায়ছি! ওজন আরো কমতো কিন্তু মাঝে বাবার বাসায় গিয়ে খেয়েদেয়ে ওজন ৩ সপ্তাহ স্টাক হয়ে ছিল।
সবশেষে সাজেদ ভাইসহ লুজ টু গেইনের সব মেন্টরদের অনেক ধন্যবাদ এমন একটা প্লাটফর্ম তৈরি করার জন্য।
বিঃদ্রঃ কেউ ডায়েট চার্ট চাবেন না কারণ সব চার্ট সবার জন্য নয়। মেন্টর সব কিছু মেজারমেন্ট করে ডায়েট চার্ট প্রোভাইড করে থাকেন।