১২ সপ্তাহের প্রিমিয়াম মেন্টরশীপ রিভিউ
মেন্টর - Sajedur Rahman
পূর্বের ওজন:৭১.৩
বতর্মান ওজন: ৬২.৪
কমেছে প্রায়:৮.৯ কেজি
হাইট: ৫ ফিট ৫ ইন্চি
আমার জীবনে ডায়েট করার কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। মোটামুটি সারা জীবনই আমি কিছুটা আন্ডার ওয়েট ছিলাম। আল্লাহর রহমতে যা ইচ্ছা মন ভরে খেতাম এবং ওজন বাড়তো না।
এই অবস্থার আমূল পরিবর্তন হলো আমার বাচ্চার জন্মের পর। প্রেগন্যান্ট অবস্থায় খুবই স্বাভাবিক ভাবে ওজন বেড়েছে। এর পর যেহেতু বাচ্চাকে ব্রেস্টফীড করাতাম, আমার খিদা লাগতো অনেক বেশি এবং আমি প্রচুর খেতাম যেটা নতুন মায়ের জন্য খুবই স্বাভাবিক এবং বাচ্চার জন্য ও প্রয়োজন।
সমস্যা হলো, আমার ওজন যেটা বেড়ে ছিলো, সেটাকে আমি আরো বাড়িয়ে ফেলি এক সময়। হেলদি খাবার এর পাশাপাশি প্রচুর মিষ্টি আর রিচ ফুড খেতেই থাকতাম। এক সময়ে আমার বাচ্চা ব্রেস্টফীডিং বন্ধ করে সলিড ও ফর্মুলাতে অভ্যস্ত হলো আমার ম্যাটার্নিটি লীভ শেষে, কিন্তু আমার ওজন আর কমে না। শুধু যে ওজন বেশি তাই না, সকাল বেলা উঠেই আমার পায়ে ব্যথা হতে থাকলো। আগে যতো ফাস্ট মুভ করতে পারতাম, তখন সেটা করতেই দম বন্ধ হয়ে আসতো। বুঝলাম বাড়তি ওজন এর কারনে হচ্ছে।এই পর্যায়ে খাওয়া কমিয়ে দিলেও ওজন খুব একটা কমে নাই।
শারীরিক সমস্যার অবস্থা বুঝে দেরি না করে লূজ টু গেইন এর সাজেদুর রহমান ভাই এর সরনাপন্ন হই।
উনি আমার সমস্ত মেডিক্যাল ইস্যূ জানলেন, আমার রেগুলার খাদ্যাভ্যাস নিয়ে ও বিস্তারিত জানলেন। এরপর উনি আমাকে খাবারের চার্ট ঠিক করে দিলেন আর রেগুলার আপডেট এর ধরন ও বুঝিয়ে দিলেন।
শুরু হলো আমার ডায়েট যাত্রা।
প্রতিদিন নিয়ম মেনে খাওয়া তো ছিলই, আর প্রতিদিন সাজেদ ভাই মেসেজ দিয়ে খাওয়া, ঘুম সব ব্যপারে খোঁজ নিয়ে প্রোগ্রামটাকে গতিময় রেখেছেন যেটা আমার মতো অলস মানুষদের জন্যে খুবই দরকার।
আলহামদুলিল্লাহ আমি ওজন অনেকটাই কমাতে পেরেছি। আমার পায়ের ব্যথা সহ যেসব জটিলতা বেশি ওজন এর জন্যে ফেস করছিলাম তার কিছুই এখন নাই।
সবচেয়ে ভালো ছিলো, সাজেদ ভাই খাওয়ার যে চার্ট দিয়েছেন তার মধ্যে দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় সব ধরনের হেলদি খাবারই ছিল। নিজেকে খুব ক্ষুধার্ত রেখে ওজন কমাতে হয় নাই আমার। আপনি নিজে যদি কমিটেড থাকেন, লুজ টু গেইন আপনার ওজন কমানোর যাত্রার জন্য চমৎকার এক প্লাটফর্ম।
আমি লুজ টু গেইন এর সর্বাত্মক সাফল্য কামনা করি।