ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং আর ওয়ান মিল এ ডে ( ওমাড) আসলে কি আর আমরা করি কি?
ওজন কমানোর ডায়েট অনেক ভাবে করা যায়। ট্র্যাডিশনাল নিয়ম হল ক্যালরি ম্যাক্রো হিসাব করে খাওয়া। এখন …
Read Full Storyঅনেকে জেনে বা না জেনে আমরা টার্ম টা ব্যাবহার করে আসছি। গ্রিন টির কথা উঠলে মনে হয় এ্যান্টি-অক্সিডেন্ট টার্ম টা বেশি শোনা যায়। আজকে আমরা এ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কি তাই বুঝবো।
এ্যান্টি-অক্সিডেন্ট টার্ম টা কিন্তু এসেছে অক্সিডেশন থেকে। শরিরে অক্সিডেশন কম করার জন্য এ্যান্টি-অক্সিডেন্ট দরকার।
এ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বোঝার আগে আমাদের জানতে হবে অক্সিডেশন সম্পর্কে।
সিম্পলি যদি বলি ছোটবেলায় আমরা সায়েন্সের বইয়ে পড়েছি। কোনকিছু তে আগুন জ্বালিয়ে তা ঢেকে দিলে নিভে যাবে। কেন? কারন আমরা জানি দ্বহনের জন্য অক্সিজেন প্রয়োজন আর অক্সিজেন সল্পতার কারণে আগুন নিভে গেছে।
এখন অক্সিডেশন কেন বলছি। আমাদের যে ফুয়েল বা জ্বালানী পুড়ছে তা অক্সিজেনের উপস্থিতিতে। এখন অক্সিজেন তো মাষ্ট দরকার অক্সিডেশনের জন্য। কখনো অনেক কম পরিমানে প্রয়োজন হয় আবার কখনো বেশি।
আমাদের শরিরে এনার্জি তৈরির জন্য অক্সিডেশন প্রয়োজন।
অক্সিডেশন কিন্ত দুইভাবে হয়।
এনএরোবিক অক্সিডেশন– অক্সিজেনের অনুপস্থিতি তে যে অক্সিডেশন হয়। অনুপস্থিতি মানে জিরো অক্সিজেন না, খুবই অল্প পরিমানে প্রয়োজন।
এরোবিক অক্সিডেশন– পর্যাপ্ত পরিমানে অক্সিজেনের উপস্থিতিতে যে অক্সিডেশন হয়।
আমাদের শরির সেল বা কোষের তৈরি। আর আমাদের কোষে অক্সিডেশনের মাধ্যেমে এনার্জি তৈরি হয়। আমাদের সেল ফুয়েল বার্ন করে এনার্জি প্রডিউস করে। এই প্রসেস টাকে অক্সিডেশন বলে। আর অক্সিডেশনের কারনে আমাদের সেল ধিরে ধিরে মরতে থাকে বা নষ্ট হয়ে যায়।
তো সামারী হল আমাদের কোষ এনার্জি প্রডিউস করতে থাকে এবং ধিরে ধিরে নষ্ট হয়ে যায়। আমাদের শরীরে সবসময় নতুন সেল তৈরি হতে থাকে আর মরতে থাকে একদিক থেকে।
এখন আমরা যখন ছোট থাকি তখন আমাদের শরিরের সেল জেনারেট হয় বেশি, নষ্ট হবার চেয়ে। আমাদের বয়স যত বাড়তে থাকে আমাদের নতুন সেল জেনারেট হওয়া কমে যায় আর নষ্ট হবার হার বেড়ে যায়। একটা পর্যায়ে গিয়ে নতুন সেল জেনারেট হওয়া বন্ধ হয়ে যায় তখন পুরাতন সেলের মৃত্যুর সাথে সাথে আপনার মৃত্যু ঘনিয়ে আসে। এটাকে ন্যাচরাল ডেথ বলে। আমাদের জীবনধারা কে সেলের অক্সিডেশন বলা যায়। আমদের সেলের অক্সিডেশন হতে থাকে, একটা নির্দিষ্ট সময়ে যখন অক্সিডেশন রেট বেড়ে যায় আর নতুন সেল জেনারেট হয়না তখন আমরা মারা যাই।
এখন আমাদের এজিং প্রসেস বলে একটা কথা আছে সেটা হল আমাদের সেলুলার অক্সিডেশন। এখন এ্যান্টি- অক্সিডেন্ট কি করে? এ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এই সেলুলার অক্সিডেশন বা সেলুলার এজিং প্রসেস কে স্লো করে। ন্যাচরাল অক্সিডেশন খারাপ কিছু না।
এখন আমরা যারা স্মোকিং করি বা অন্য কোন ধরনের নেশা বা কোন বদঅভ্যাসে আসক্ত অথবা আনহেলদি ফুড হ্যাবিট বা লাইফস্টাইলের কারণে ফ্রী-র্যাডিকেলস উৎপন্ন হওয়া শুরু করে, এগুলো হল এক ধরনের এনজাইম যা আমাদের শরিরে অক্সিডেশন বাড়িয়ে দেয়। ফ্রি-র্যাডিকেলস এর পরিমান শরিরে বেড়ে গেলে, আমাদের সেল এই টক্সিন গুলোকে রিমুভ করার জন্য এক্সট্রা কাজ করে। যার ফলে সেলের এজিং প্রসেস বৃদ্ধি পায়। যখন সেলের এজিং বৃদ্ধি পায় তখন এর ফলাফল আমরা স্কিনে আমাদের শরিরের প্রতিটা অঙ্গে এর প্রভাব দর্শনীয় হয়ে উঠে।
এখন আপনি যদি একহাতে গ্রীন টি আরেক হাতে গোল্ডলীফ নিয়ে ভাবেন যে এ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আপনাকে ইংয় বানায় দিবে তাহলে অনেক বড় ভুল ধারনা নিয়ে বসে আছেন। অক্সিডেশন প্রসেস কমাতে এন্টিঅক্সিডেন্ট এর চেয়ে হেলদি ডায়েট আর হেলদি লাইফস্টাইল বেশি প্রয়োজন।
বি.দ্র: এখানে খুব বেশি টেকনিক্যাল টার্মে যাইনি। অক্সিডেশন অনেক জটিল একটা ব্যাপার, এটা বিভিন্ন ভাবে হয়। এখানে শুধু বোঝানোর জন্য সিমপ্লিফাই করা হয়েছে। কারও বিস্তারিত জানার থাকলে বায়োলজি বই খুলে বসেন। এরপর কোনদিন সময় পেলে সেলুলার অক্সিডেশন নিয়ে কথা বলবো, এনার্জি সিস্টেম গুলো নিয়ে আলোচনা করবো।
ওজন কমানোর ডায়েট অনেক ভাবে করা যায়। ট্র্যাডিশনাল নিয়ম হল ক্যালরি ম্যাক্রো হিসাব করে খাওয়া। এখন …
Read Full Storyফ্যাটলস ডায়েটে সবচেয়ে কমন ভুল যেটা আমরা করি তা হলো মেপে না খাওয়া। ওজন কমাতে চাইলেও অনেকেই আছেন …
Read Full Storyনা সম্ভব না। এই ব্যাপারটা নিয়ে সচরাচর আলোচনা হয় না কিন্তু অনেকের মনে এই প্রশ্ন ঘুরপাক খায়। এইটা …
Read Full Story